আগামী শনিবার রাজধানীর মিরপুর-১০ এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্টের (ইসিটি) নতুন চার্চ উদ্বোধন ও পালক সেমিনার। “খ্রিষ্টান নেতৃত্বের সংকট ও সমাধান: পূরোহিত জীবনের বাস্তবতা” প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে খ্রিষ্টান সমাজের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ ও গবেষকরা উপস্থিত থাকবেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও অতিথিবৃন্দ
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পাস্টর রেভারেন্ড নথনেল সেতু মুন্সী, সেক্রেটারি, ঢাকা পাস্টর্স ফেলোশিপ।
প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন রেভারেন্ড জেমস জীপু রায়, কান্ট্রি ডিরেক্টর, হাউস চার্চ অব বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন বিশপ শিমসন বাড়ৈ, চেয়ারম্যান, ইসিটি বোর্ড।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক নাসির উদ্দীন আহমদ, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠক।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মেজর জ্ঞানেন্দ্র বাড়ৈ, সাবেক সিনিয়র পাস্টর, দি সালভেশন আর্মি অব বাংলাদেশ এবং ইসিটি বোর্ড সদস্য।
ইসিটির ঐতিহাসিক ভূমিকা
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসিটি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য, সহাবস্থান ও ধর্মীয় সহনশীলতার প্রচার করে আসছে। ধর্মীয় শিক্ষা, গবেষণা এবং সমাজসেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে।
২০২৪ সালে ইসিটি “জাতীয় জীবনে খ্রিষ্টানমণ্ডলীর অবদান” শীর্ষক পাঁচ বছর মেয়াদি গবেষণা প্রকল্প শুরু করে, যার বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। এই গবেষণায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও জাতীয় জীবনে তাদের অবদান তুলে ধরা হবে।
সামাজিক ও শিক্ষামূলক উদ্যোগ
ইসিটি কেবল গবেষণা নয়, সামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। প্রতি মাসে দরিদ্র ও প্রান্তিক খ্রিষ্টান শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান, নার্সিংয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক সহায়তা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কাউন্সেলিং, আইটি প্রশিক্ষণ এবং যৌতুক ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্প আয়োজন করে থাকে।
২০২৪ সালে নোয়াখালীতে এক হাজার পরিবারকে ত্রাণ বিতরণসহ নানা মানবিক কার্যক্রমও পরিচালনা করেছে সংগঠনটি।
ঐক্য ও সম্প্রীতির বার্তা
শনিবারের চার্চ উদ্বোধন ও পালক সেমিনার কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব সংকট সমাধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইসিটি বিশ্বাস করে—বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য এবং এই চেতনার মাধ্যমেই বাংলাদেশে একটি সহনশীল, প্রগতিশীল ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।
ইসিটি’র ওয়েবসাইট: ectbd.org